অনেক স্বপ্ন নিয়ে সংসার ছেড়ে মানুষ পাড়ি জমায় সুদূর প্রবাসে। তাদের মূল উদ্দেশ্য থাকে ভবিষ্যতের দিনগুলোতে পরিবার-পরিজন সন্তানদের নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকবেন। এই আশায় বিদেশ যান অধিক অর্থ উপার্জনের জন্য। তেমনি একজন হলো- প্রবাসী আবুল কালাম। মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকূল মান্দ্রা এলাকায় তার বাড়ি।
শ্রীনগরে প্রবাস থেকে পাঠানো বহু কষ্টার্জিত অর্থ এবং টাকা পয়সা নিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেছে তার স্ত্রী। এ ঘটনায় প্রবাস ফেরত স্বামী বাদী হয়ে স্ত্রী ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকূল মান্দ্রা এলাকার বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী আবুল কালামের সাথে ১২ বছর আগে একই এলাকার কাদির দেওয়ানের মেয়ে মুক্তা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আবুল কালাম সৌদি আরব চলে যায়। বিদেশে থাকাবস্থায় বহু কষ্টে অর্জিত সব টাকা-পয়সা সে তার স্ত্রী মুক্তা আক্তারের নামে মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার ন্যাশনাল ব্যাংক ভাগ্যকূল শাখার একাউন্টে পাঠায়।
এদিকে, গত ২৫ মে আবুল কালাম বিদেশ থেকে দেশে আসার পর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে দাম্পত্য সম্পর্ক পালনের একদিন পরেই স্ত্রী মুক্তা আক্তার সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর এলাকার আ: শহীদের ছেলে নাহিদের সঙ্গে পালিয়ে যায়। এসময় স্ত্রী মুক্তা ১১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ সাড়ে ৯ লাখ টাকা নিয়ে গেছে বলে আবুল কালাম দাবি করেন।
অপরদিকে পালিয়ে যাওয়ার একদিন পর মুক্তা মোবাইল ফোনে জানায়, সে তার স্বামী আবুল কালামকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তালাক দিয়েছে।
জীবনের সব সঞ্চয় হারিয়ে আবুল কালাম বলেন, সর্বশেষ স্বর্ণালংকার টুকু হাতিয়ে নেয়ার জন্য হয়তো অপেক্ষায় ছিল সে (মুক্তা)। তাই বিদেশ থেকে আসার পর একদিন ঘর করেই পালিয়ে গেছে। তালাক প্রদান করে থাকলে আগের স্বামীর সাথে কিভাবে ঘর করল এ নিয়ে এলাকায় নানা রকম আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
এ বিষয়ে মুক্তা আক্তারের মা রানু বেগম জানান, স্বামীর বাড়ি থেকেই তার মেয়ে অন্য কোথাও চলে গেছে। এখন আর তার সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ নেই বলে জানান তিনি।
শ্রীনগর থানার ওসি এসএম আলমগীর হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় গত ২৭ মে কোর্টে মামলা হয়েছে। তবে কোর্টের কাগজ এখন পর্যন্ত থানায় এসে পৌঁছায়নি। কাগজপত্র পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।